হতে পারেন আপনি শেখ মুজিব বিরোধী,
হতে পারেন আপনি বাকশাল বিরোধী,
হতে পারেনআপনি আওয়ামিলীগ বিরোধী,
হতে পারেন আপনি জামাত-শিবির,
হতে পারেন আপনি বিএনপি,
করতে পারেন আপনি জন্মদিন পালন,
হতে পারে আপনার কাছে শেখ মুজিবের হত্যা জাস্টিফাই মনে করেন,
হতে পারে আপনি মুজিবের কর্মের সহযোগি হিসেবে তার পরিবারের সকল সদস্যের হত্যাকন্ডে নিরব থাকেন
কিন্তু
হতে পারে না তখনই যখন আপনি অবুঝ শিশু শেখ রাসেলের হত্যাকান্ডকেও একি পাল্লায় মাপেন।
হতে পারে না তখনই যখন ১৫ আগষ্ট অবুঝ শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল জেনেও আপনি উল্লাস – উতফুল্ল বোধ করেন।
হ্যা. সব কিছু বাদ দিলাম যদি এই শিশু রাসেলের হত্যাকন্ডেও আপনার অনুভুতির পরিবর্তন হয় না, তাহলে আপনি কোনো বিবেক বান মানুষের পর্যায়ে পরেন না।
একটা অবুঝ শিশু যে বুঝেই উঠতে পারে নি পৃথিবীটা কি যেকিনা জানতেই পারলো না রাজনীতিটা কি, যে কিনা বুঝারই সুযোগ পেলো না ন্যায়-অন্যায় কি। সে কোন পক্ষ নিবে। তাই পৃথিবীতে যখনই কোনো শিশুকে হত্যা করা হোক না কেনো তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, হোক তা বাংলাদেশ কিংবা ফিলিস্থিনে, ইসরায়েল কিংবা আমেরিকায়, ইরাক কিংবা শিরিয়ায়। নিরপরাধ শিশুদের হত্যায় নিরব থাকা তাই কোনো বিবেক বান মনুষের পক্ষে সম্ভব না, জাস্টিফাই ভাবাতো কল্পনাই করা যায় না।
আর শিশু রাসেলের হত্যাকারিদের বলতে চাই, আপনারা যত বড় সৈনিকই হোন, আপনারা যত বড় মুক্তিযুদ্ধাই হয়ে থাকে না কেনো, আপনার ছোট্ট এই রাসেলের কাছে চরম ভাবে পরাজিত হয়েছেন, হ্যা পরাজিত, কারণ আপনি ও আপনার তাকে নিয়ে চরম ভাবে ভিত ছিলেন, আপনারা ভেবে ছিলেন হয়তো একদিন হ্যা একদিন এই ছেলেই হয়ে উঠতে আরক বঙ্গবন্ধু কিন্তু সে হয়তো তখন আর ক্ষমাশীল হবে না আপনাদের এই বর্বরতা বিচার করবেই। আর তাই, শুধু মাত্র এই সম্ভাবনাকে উপর ভিত্তি করে চরম ভাবে ভিত হয়ে তার কাছে পরাজিত হয়ে তাকে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তাই আপনাদেরে বিচার ও শাস্থি দুটি কারনে হওয়া উঠিত ১. হত্যা কান্ড ২. কা-পুরুষতা যারা বিশার অস্রধারি সেনা সৈনিক ও যুদ্ধের ময়দানের অকুতভয়ী যুদ্ধা হয়েও একটি অবুঝ শিশুর কাছে চরম ভাবে পরাজিত হয়।