“আমার ভাই রক্তে লাল, পুলিশ কোন চ্যাটের বাল”

Posted In:Bangladesh, Education, Politics | Posted by: | Posted On:Aug 03, 2018 Comments Off on “আমার ভাই রক্তে লাল, পুলিশ কোন চ্যাটের বাল”

“আমার ভাই রক্তে লাল,
পুলিশ কোন চ্যাটের বাল”
আপাত অশ্লীল মনে হ্ইলেও এটাই আসলে আন্দোলনের সর্বউত্তম সুন্দর ভাষা। আপনি আমি যারা একটু পুরনো যুগের একটু সুশীল সুশীল ভাব নিয়া চলাফেরা-কতাবার্তা বলি তাদের কাছে এই “চ্যাটের বাল” শব্দ দুইটা শুনতে একটু মন্দ লাগতে পারে কিন্তু এইটাই আজকের তরুণদের ভাষা। এই তরুণরা ওপেন এবং ডিরেক্ট। আর এই ওপেন আর ডিরেক্টনেসই তাদের আজকের সুভবোধের উৎস, আজকের শক্তির উৎতস। সেই জন্যই তারা আজকে বলতে পারছে, “রাজা তুই ন্যাংটা” যা আপনি আমি পারি নাই। আমাদের সুশীলামিই আমাদের তা করতে দেয়ে নাই। আমরা সত্যকে সত্য, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো, ন্যায় কে ন্যায়, অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারি না কারন আমরা সুশীর থাকতে চাই। সাদাকে সাদা আর কালো কে কালো বললে যদি আমাদের “জামাত, শিবির, রাজাকার, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, বাম,ডান” ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়। আমারতো কোনো ট্যাগ খাইতে চাইনা, আমরা সুশীল থাকতে চাই এই জন্য অন্যায় দেখে চোখ ফিরাইয়া রাখতে হইলেও তাই করতে চাই। কিন্তু এই ঠোট কাটা বাচ্চা ছেলেমেয়ে গুলি এই সুশীর-কুশীল বুঝে না, এরা ট্যাগিং ফ্যাগিং বুঝে না, এদের কে সুশীল কুশীলে ফেলাইয়া ট্যাগ করাও যায় না, আওয়ামীলীগ বিএনপি জামাত বানানো যায় না, তাই এরা ডিরেন্ট এবং ওপেন। এরা সত্য কথা কইতে পারছে, এই সত্য কথা কওয়াটারে অ্যাপ্রিশিয়েট করেন, এই ডিরেক্টনেসকে উৎসাহ দেন। এইখানে কোনো প্রতিষ্ঠানের মান ইজ্বত গেলো এই গুলা খুঝতে আইসেন না। ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার জন্য ওপেননেস আর ক্লিয়ারনেসের দরকার আছে। দেখছেনইতো রাষ্ট্রের সর্বচ্চ পর্যায় থেকে কিভাবে ভেতরে এক কথা আর বাহিরে আরেক কথা বইলা পরে পল্টি মারে? এইরকম পল্টিবাজ সুশীল থেইকা সরাসরি কথাবলা কুশীল অনেক ভালো , তাই ভবিষ্যত হওয়া উচিত এই ছাত্রদের মতো ডিরেক্ট, ক্লিয়ার এবং ওপেন।

ছবি: কপিড ফ্রম জিয়া হাসান।

Comments are closed.