উগ্র জাতীয়তাবাদী তথা সাম্প্রদায়িকতা সর্ম্পকে দুটি কথা : (ভন্ড শ্রেনীকে চিনুন)

Posted In:Philosophy, Politics | Posted by: | Posted On:Aug 11, 2013 Comments Off on উগ্র জাতীয়তাবাদী তথা সাম্প্রদায়িকতা সর্ম্পকে দুটি কথা : (ভন্ড শ্রেনীকে চিনুন)

—১) যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তার কাছে কোনো জাত-পাত নেই। তাকে আপনি আজকে ইউরোপ-আমেরিকার ভিসা ধরিয়ে দেন, কাল থেকেই সে ঐ দেশের জাতীয়তা ধারণ করবে।

— ২) যার জীবন চলার পরেও অর্থের উদ্ধৃত থাকে, তার কাছেই জাত-পাতের বিষয়টা প্রাধান্য পায়। তাদের মধ্যে আবার দুই ধরন,
এক a) নিজের জাতীয়তা ও জাত নিয়ে সব সময় সন্তুটই থাকে এদের নিজেদের গন্ডি ছেড়ে বের হয়ে যেতে হয় না তাবে এরা অন্য জাতের সাথে সম্প্রিতি বজায় রেখে চলে এবং সময়ের প্রয়োজনে এরা রীতিনীতি পরিবর্তন করে।
দ্বিতীয়টি, এরা খুবই খারাপ b) এরা নিজের জাতীয়তা ও জাত নিয়ে উগ্র অহংকার/ধারনা পোষন করে, এদের বেশীর ভাগ জাতিয় রীতি-নীতিই লোক দেখানো ও বিশেষ দিন ও অনুষ্ঠান অনুযায়ী। এরা আঞ্চলিকতা ও জাতীয়তার চরম ভাব দেখালেও, জীবন আরও অধিকতর সাচ্ছন্দের জন্য, ভিন্ন অঞ্চল, ভিন্ন দেশ, ভিন্ন দেশের সাথে ভিন্ন পোষাক-আষাক রীতি-নীতিতে বসবাস করলেও, এদের মুখে সব সময় উগ্র-জাতীয়তাবাদী শ্লোগান থাকে।

লাস্ট, ঐ উপরে ১)-এ যাদের কথা বললাম, নুন আনতে পান্তা ফুরায় শ্রেনী, এরা কাটাতারের বেড়া ভিত্তিক বিশ্বে ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য কখনই নিজের অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে পারে না, তাই ভাগা হয়ে এদের সত্যিকারে সেই অঞ্চলের জাতীয়তা ধারণ করে। এরাই হয় বাঙ্গালী, ফিলিস্থিনি, আফগানী, সোমালীয়….. দুনিয়ার তাবুত নিপিড়িত জনগুষ্টি বা সত্যিকারে জাতীয়তা ধারন গুষ্টি। আর বাদ বাকি যারা জাতীয়তা বাদের কথা বলে তারা এক কথায় ভন্ড।

Comments are closed.