রাজতন্ত্রে যুদ্ধ হয় রাজায় রাজায় আর প্রজারা দেখে মজা,
ক্যাচাল যুদ্ধ হয় প্রজায় প্রজায় আর রাজারা দেকে মজা,
তাই রাজারা যখন বুঝতে পারলো রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে মরার থেকে, প্রজায় প্রজায় যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে নিজেরা রাজত্ব করে বেরালে কেমন হয়, তখনই তাদের মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধির আর্বিভাব ঘটল, আর তারা উদ্ভবন ঘটালো একটা নতুন তন্ত্রের এর নাম গণতন্ত্র উরফে ক্যাচাল তন্ত্রের।
দেশে দেশে ক্যাচালতন্ত্রের (গণতন্ত্র নাম করে ক্যাচাল লাগিয়ে প্রজাদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়াতে এই তন্ত্রের বেশ সুদূরপ্রসারী সুবিধা আছে।
এই তন্ত্রের আবার কিছু মৌলিক অধিকার আছে, সেই অধিকার গুলো আবার অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা নয়।
এই তন্ত্রের একমাত্র মৌলিক অধিকার হলো হরতাল। যেই তালে আমার পেয়েছি অগ্নিদদ্ধ মনির আর সুমির লাশের সাথে আরও কত লাশ। তবুও একটা মশার কামরে একফুটা রক্তও ঝড়াতে হয়নি এদেশে এই ক্যাচালতন্ত্রের (গণতন্ত্র) বৃহৎ দুই ধারক বাহক দুই নেত্রীকে। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও গণতন্ত্রের নামে একশ্রেনীর বুদ্ধীজীবিরা এইসব নেত্রীদের পা-চাটা চামচামি না করলে এদের পেটের ভাত হজম হয় না, এই দুই নেত্রীর বিকল্প কোনো সমাধানও তারা দেখতে চান না। আগেকার দিনের রাজাবাদসাদের বর্তমান যুগের নেত্রীদের দেখলে হয়তো তাদের অফসোছ হবে, ক্যাচতন্ত্রের উদ্ভবন তখন ঘটলে তারা কত সুন্দর ভাবেই না প্রজাদের মাথায় কঠাল ভেঙ্গে খেতে পারতো।
যাইহোক কি আর করা, গোলামের জাত এইসব প্রজারা (জনগন সাধারন +বুদ্ধিজীবি) গোলামী ছাড়া আর কিছে যে ভাবতে পারে না। তাইতো এদের কে যে তন্ত্রই দেওয়া হোক তারা এটাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে তাদের জন্য চামচাতন্ত্র, আর নেতাদের জন্য রাজতন্ত্রের সৃষ্টি করে দেবে।
তাই কারও যদি গোলামের জাতশুনতে খুব খারাপ লাগে তাহলে দুই-নেত্রীর গোলামী থেকে বের হয়ে নতুন কিছু করার কথা ভাবুন। আর গোলামী যদি করতেই হয়, তাহলে এমন নেতা খুজেন যারা সিরাজদৌলার মতো তার প্রজাদের ভালবাসতে পারবে।
প্রথম প্রকাশ : Click This Link