ডিজিটাল ওর্য়াল্ড অভিজ্ঞতা

Posted In:Bangladesh | Posted by: | Posted On:Feb 10, 2015 Comments Off on ডিজিটাল ওর্য়াল্ড অভিজ্ঞতা

ডিপার্টমেন্টর জন্য স্টল পাওয়ায় গত দুদিন ধরে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে থাকতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সময়টা মোটামোটি ভালই কেটেছে, এবং ব্যপক মানুষের সমাগম হয়েছে।  যদিও উদ্বোধনের দিনের (প্রথম দিনের) অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর ছিল না। প্রথম দিন আমার যেতে কিছুটা লেট হয়েছিল তবে বড় ভাইরা ও ডিপার্টমেন্টের অন্য সবাই মিলে স্টল সময় মতো গুছিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু ১২ টা বাজতেই সকলকে চীন মৈত্রী সম্মেলন থেকে বের করে দেওয়া হয় প্রধামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে তার নিরাপত্তাজনিত কারনে, সেই প্রধান মন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌছায় বেলা ৩.৩০ মিনিটে, এর মধ্যে ভিএইপি ও বেসিসের মেম্বারধারি যারা ইনভাইটেশন কার্ড পেয়েছিল তারাই কেবল বিশাল লাইনে দ্বাড়িয়ে থেকে ভেতরে ঢুকতে পেরেছিল, কিন্তু আমাদের স্টল থাকা সত্বেও কোনো রহস্য জনক কারনে আমাদের জন্য কোনো ইনভাইটেশ আসে নি, এক্সিবিউটর কার্ড দিখিয়েও ভিতরে ঢুকতে দেয়ে নি। এবং তাদের থেকে বলা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ করে প্রধানমন্ত্রী না যাওয়া পর্যন্ত ভেতরে সাধরণকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, তাই আমরা অনেকে বাসায় ফিরে যাই। পরে ৫.৩০ এর দিকে সবার জন্য উন্মুক্ত হলে আবার ৬.৩০ এর দিকে আবার অনুষ্ঠানে আসি। রাত আটটা পর্যন্ত চলে প্রথম দিনের সেশন। প্রথম দিনেই দর্শনার্থীর সংক্ষা ছিল লক্ষণীয়।

আজকে ছিল ৪ দিন ব্যপি ইভেন্টের দ্বিতীয় দিন। যথারিতি, লেট করেই ইভেন্ট স্থলে পৌছাই ১০.৩০ এর দিকে। আমার কাছে এটা খুব সাকল মনে হলেও, ভিজিটরদের সংখ্যা দেখে মনে হচ্চিল আমি খুব লেট করেই পৌছেছি, মাত্র ৩০ মিনিট লেট করে এসেও বাইক রাখার মতো কোথাও কোনো জায়গা ফাঁকা পাচ্ছিলম না। পরে বহু কষ্টে একটা জায়গা মেনেজ হয়। যাইহোক, চীন-মৈত্রীর মূল ভবনের সামনে এসে দেখি এখানে বিশাল লাইন, রিজি করে যারা ভিজিটর কার্ড পেয়েছে তাদের কার্ড চেক করে করে ভেতরে ঢুকানো হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে তখন কোনো কার্ড ছিলা না আবার রেজি নাম্বার দেখিয়ে কার্ড তুলার মতো সময়ও ছিল না, তাই ভেতর থেকে একজনকে ফোন দিয়ে বাহিরে একটা কার্ড পাঠিয়ে দেন ভেতরে ঢুকলাম, ভেতরে ঢুকে আমাদের স্টলের দিকে যেতেই সজিব ওয়াজেদ জয়ের সাথে দেখা, আমি কোনো দিকে খেয়াল না করে সোজা সুজি হাটতে ছিলাম, হঠাৎ দেখি স্যুটেড বুটেড এক লোক আমাকে একপাশে সরিয়ে দিচ্ছে, দেন সামনে তাকাতেই দেখি জয় সাহেব পাস দিয়ে হেটে যাচ্ছেন, বিশাল লম্বা – আমি এগে এতোটা ভাবি নাই, সারে সাতফুটের উপরে হবে হয়তো।
যাইহোক, স্টলে পৌছার পর দেখলাম বড় ভাইরা দর্শনার্থীর বোঝানো নিয়ে খুব ব্যস্ত। আমরা সাধারনত আমাদের বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স ডিপার্মেন্ট থেকে এযাবৎ কাল পর্যন্ত গবেষান মাধ্যমে সেসব ইনভেশন ও ডেভেলাপমেন্ট করেছি তার একাটা প্রদর্শন করেছিলাম। আর  আমাদের স্টলটা প্রবেশ পথের কাছা কাছি হওয়ায় উতসুক জনতার ব্যপক ভীর ছিল। সাধরণ দর্শনার্থী ছাড়াও আমাদের লাইন নিয়ে যারা কাজ করে এমন ভিজিটরের সংখ্যাও ছিল উলেখ্যযোগ্য, অনেক বড় বড় ডাক্তার ও ডায়াগোনোস্টিক সেন্টারের লোকেরা এসে আমাদের ডেভেলাপমেন্ট গুলা দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছে, দেশেই যে প্রয়োজনীয় উচ্চমূল্যের মেডিকেল ইকুপমেন্ট গুলা নিজেদের প্রযুক্তিদ্বারা তৈরি করা হচ্ছে তা তারা অনেকেই আগে জানতো না, তাদের মাঝে অনেকেই আমাদের সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগের জন্য ব্যপক আগ্রহ দেখিয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশীও ছিলেন ইন্ডিয়া ও ভুটানের দুইজনকে আমি ইসিজি মেশিন ও টেলিমেডিসিনের জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখেছি,  অনেকে আরও ব্যাটার কিভাবে করা যায় সেই পামর্শও দিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে আজকের দিনটা আমাদের জন্য প্রায় সফল একটা দিন ছিল।  অন্যান্য স্টলগুলাও ছিল বেশ জমজমাট, এবারে ভিবিন্ন্য আটি ও সফ্‌ট ফার্মের স্টল ছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলার স্টলও ছিল, যেমন বাংলাদেশ পুলিশ, এডুকেশন মিনিস্ট্রি, মেনপাওয়ার মিনিস্ট্রি, কৃষি, আরও অন্যান্য। এছাড়াও ছিল ইভেন্টের মূল আকর্ষন ভিবিন্ন বিষয ভিত্তিক সেমিনার যা হল রূমগুলোতে একাধারে চলতেছিল।

আর সবশেষে বলতে হয়, ইভেন্টিতে যেমনটি ভাব হয় নি তার থেকেও অধিক সংখ্যাক মানুষের সমাগম ছিল। এর করণ হিসেবে অনেকে বলছেন, আজ যেহেতু বানিজ্য মেলার শেষ দিন আর পাশেই যেহেতু ডিজিটার ওয়ার্ল্ড চলছে তাই অনেকই মেলার ভিজিটররা এতে এসে একবার করে দেখে যাচ্ছেন। তবে আগামী কাল বুঝা যাবে আসল ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের ভিজিটর কেমন।

Comments are closed.