আওয়ামীলীগের ৬৫ তম প্রতিষ্ঠা বাষিকী আর আমার আজকের অভিজ্ঞতা।

Posted In:City Life, Politics | Posted by: | Posted On:Jun 23, 2014 Comments Off on আওয়ামীলীগের ৬৫ তম প্রতিষ্ঠা বাষিকী আর আমার আজকের অভিজ্ঞতা।

আজকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (BAL) এর ৬৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছিল। এই উপলক্ষে আমাদের আজকে শুধু শাহবাগের জামেই ২:৩০ ঘন্টা বসাইয়া রাখলো। বিকাল ৪:৪৫ বাসায় আসার জন্য রওনা দিছিলাম আর আইসা পৌছাইলাম রাত ৯টায়। একবার চিন্তা করছিলাম সকলে তো আবার কাজে আসতেই হবে তাইলে একটু সময়ের জন্য বসায় ফিরা লাভ কি। কিন্তু বাসের মধ্যে এমন মাইনকার চিপায় যাইয়া পরছিলাম যে সামনে পিছে কোনো জায়গায় যাওয়ার কোনো কুদরত ছিল না।

একজায়গায় আড়াই ঘন্টা জামে পরে থাকতে থাকতে অনেকের মাথার টেমপার আউট হইয়া গেছিল। বাসে চিল্লাইয়া সরকারের গুষ্টি উদ্ধার করতেও দেখলাম। কতো মারা মারি ঝড়া-ঝাটি যে দেখলাম। আরেকটু হইলে হয়তো খুন-*র্ষণ শুরু হইয়া যাইতো। ৌন-নিপিরনের ঘটনাতো একটু ঘটছেই, তার পরেও মহিলারা বাসে উঠার জন্য পাগল প্রায় হইয়া যাওয়ার মতো অবস্থা, যে ভাবে হোক তাদের বসাতে উঠতেই হবে, বাসের কন্ট্রাক্টার তাদের নিরাপ্তার কথা ভেবে অনেক সময় মহিলাদের তুলতে চায় না, এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক মহিলাতো আজকে বাসের এক কন্ট্রাক্টারে চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার কইরা দিছে, যেই সব গালি পুরুষ মানুষি দিতে লজ্জা পায় ঐ মহিলা একলই তা উদ্ধার কইরা ফেলছে। কি আর করার সবারই বাসায় ফিরতে হবে, একটু কষ্টতো আমাদের মনে নিতেই হবে, কিন্তু এই মেনে নেওয়া মনষিকতাটা অনেকের মধ্যেই নাই।

আমি হাফ ছারি আর মনে মনে কই, এই চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করার টেম্পার যদি তোমরা BAL সরকার উদ্ধারে কাজে লাগাইতা, তাইলে এতদিনে হয়তো দেশে শান্তি ফিরলেও ফিরতে পারতো। হিজড়া বিএনপি আশায় বইসা থাকলে জীবন যাইবো শুধু ঈদের পরের আন্দোলনের আশায় আশায়।

অনেক আওয়ামী আন্ধা আবার ভাবতে পারেন এদেশে, মাহাতির মুহাম্মাদ আসলেও জানজট নিরশন করতে পারবে না। সেই সব আন্ধাদের জন্য বলতে চাই, মাহাতিরের দরকার নাই, আওয়ামী ইতরই যতেষ্ঠ ছিল যদি তারা একটু দেশপ্রেমিক হইতো। কেম্নে ?? এই কেম্নের উত্তর আমার নতুন করে কিছু দেওয়ার নাই, অনেক বড় বড় বিশেষজ্ঞরা তা বহুদিন ধরে বলে আসছে… হুম.. বিকেন্দ্রীকরণ ইংরেজীতে বললে হয়তো অনেকে বুঝবেন ডিসেন্ট্রালাইজেশন। কিচ্ছু না বড় বড় কিছু কোম্পানীকে ঢাকার বাহিরে সিফ্টকারার, কিছু প্রাইভেট ভার্সিটিরে করার, কাওরান বাজার থেকে কিছু মিডিয়ারে প্রতিটাবিভাগে ভাগ কইরা দেন (প্রত্যেক সাপ্তাহে প্রতি চ্যানেলে কাওরান বাজারের মাছের দর শুনতে আর ভাল্লাগে না), মতিঝিল থেইকা কিছু সরকারি চাকর-বাকার (আমলা) দের প্রতি বিভাগে মন্ত্রনালয় কইরা পাঠাইয়া দেন। দেখেন এক মাসের মধ্যেই ঢাকা “ঢাকা থেকে খোলা”য় পরিনত হয়ে যাবে। আপনারও আওয়ামী ইতরা এটা খুব ভালকরেই জানে, এইটা যে মঙ্গল জনক তাও জানেন কিন্তু ক্ষমতা,,, হুম.. ক্ষমতা এক ভাবে নিয়ন্ত্রনের যে লোভ তাই সব ক্ষমতাকে কেন্দ্রিভূত করে এক ভাগে ভোগ করতে চান। এর জন্য কখনও চানা যে ক্ষমতাটা আপনার থেকে দূরে সরে যাক। আর তাই “বিকেন্দ্রীকরণ”এর মতে চতৎকার একটা উদ্দোগ, যা আপনার ভাদার দেশের দাদারা খুব ভাল ভাবে বাস্তবায়ন করছে, তা আমাদের দেশে আর আলোর মুখ দেখে না। হ্যা, ইতর আওয়ামীলগ আর হিজড়া বিএনপি যতদিন আছে তাদের জীবনেও তা আলোর মুখ দেখবেনা। তারা শুধু ফ্লাই ওভার আর মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রযেক্ট বাস্তবায়ন করে কিভাবে টু-পাইস কামিয়ে মস্তবড় সার্টিভাইড দেশপ্রেমিক হওয়া যায় সেইটা নিয়া ব্যস্ত থাকবে।

তাই সর্বশেষে বলতে যাই, বাসে চিল্লাচিল্লি না কইরা আসল জায়গায় আইসা চিল্লান। ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলুন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে আওয়ামী মোকাবেলায় ঝাপিয়ে পড়ুন।
আর তা না পারলে, বস্তা রেডি করুন, বস কিছু নিয়া লন্ডন, আম্রিকা,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া বা অন্য কোথাও ভাইগ্গা চইলা যান এছাড়া বাচার আর কোনো উপায় নাই।

Comments are closed.