কারও কাছে “দুষ্ট গুরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো”
কারও কাছে ” নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো”
আবার “র্দুজন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য”
আবার ” মূখ্য বন্ধু অপেক্ষা বুদ্ধিমান শত্রুও ভালো”
আমরা বাংলাদেশীরা জন্মের পর থেকেই এসব স্ববিরোধী শিক্ষা লাভ করে আসছি। তাই বাংলাদেশীরা সামগ্রিকভাবে কখনও কোনো বিষয়ে ঐক্যমতে পৌচ্ছতে পারে না। এরা “কানা মামা”র পক্ষেও থাকে আবার “শুন্য গোয়ালের” পক্ষেও থাকে, এদের শিক্ষাটাই যে এমন।
যাইহোক,, আমি কখনওই কোনো অসভ্য বেয়াদবের পক্ষে থাকি না, একদুই বার বেয়াদবি করে অপদস্থ হওয়ার পরেও যার শিক্ষা হয় না, যে চরম অহংঙ্কারী মনভাবপন্ন, যার দাম্ভিকতা আকাশ চুম্বি, তাকে উপেক্ষা করাই ন্যায্য।
হুম. সাকিব প্রসংঙ্গেই আমি এমন কথা বলছি। সাকিবের আত্মপক্ষ সমর্থন সর্ম্পকেও আমি আবগত আছি, তাতে আমি এমন কিছু পাই নি, যার জন্য তার বিসিবি ও ক্রিয়ামোদী দর্শকদের উপর তার অসুভন আচরন করার যৌক্তিকতা ছিল। তাই সার্বিক বিবেচনায় বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সাথে আমি ঐক্যমত্য প্রকাশ করছি।
সমাজে অসভ্য দের সভ্য করে তোলার চেষ্টা না করা হলে, এদের শাস্তি না দিলে, প্রকারান্তরে অসভ্যতা ও অসভ্যদের উৎসাহীতা করা হয়। সভ্য সমাজ বিনির্মাণ করতে যেয়ে অসভ্যতাকে কী করে স্থান দেয়া যায়!!
তাই “অসভ্য সাকিব ভালো খেলোয়ার হলেও পরিত্যাজ্য” যতদিন পর্যন্ত না সভ্য হচ্ছে। খেলের মাধ্যমে জাতিকে সম্মান এনে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলেই যে তাকে সমাজ – সভ্যতার উর্দ্ধে তুলে ফেলতে হবে, এমন ভাবনা আসাটাই আমাদের সামাজিক ও বুদ্ধিবিত্তিক দৈন্যতা। আর এ দৈন্যতা সর্বত্র ছড়িয়ে পরেছে বলেই এত অপবাদ থাকার পরেও একদল লোক সামীম ওসমানদের পক্ষালম্বন করে। এথেকে একনই আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে, সব সময় আবেগ নয় বরঞ্চ বিবেক দিয়ে বিচার করার মানষিকতা গড়ে তুলতে হবে।